যাদের বয়স ১৮ বছর বা ২০ বছরের নিচে তাদের নিকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন হলো সর্বনিম্ন কত বছর বয়সে পাসপোর্ট করা যায়? যদিও প্রশ্নটি ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ বিষয়টি এমনও নয়৷ অনেকে ক্ষেত্রেই বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তির মাথায় বিভিন্ন কারণে এসে থাকে।
সে কারণে আজকের এই আলোচনায় আমরা সর্বনিম্ন কত বছর বয়সে পাসপোর্ট করা যায়, পাসপোর্ট করার সর্বনিম্ন বয়স কত বা কত বছর হলে পাসপোর্ট করা যায় এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আশা করছি এই বিষয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর আপনি এই পোস্টে পেয়ে যাবে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
আরও পড়ুন:
সর্বনিম্ন কত বছর বয়সে পাসপোর্ট করা যায়?
আমাদের দেশে প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় ছেলে মেয়েদের সাবলক হিসাবে ধরা হয় ১৮ বছর বয়স থেকে। যার কারণে ১৮ বছরের আগে তারা বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। আর এর ফলে আমাদের সমাজের অনেকের ধারণা ১৮ বছর না হলে সরকারি অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ন্যায় পাসপোর্টও তৈরি করা যায় না।
সে কারণে অনেকে পাসপোর্ট বানানোর জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র (NID Card) থাকাকে বাধ্যতামূলক মনে করে। এমনি কি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখেছি প্রবাসে যেতে ইচ্ছুক এক ব্যক্তি শুধু মাত্র জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকার কারণে পাসপোর্ট তৈরি না করে দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছেন। অথচ তার কাছে জন্ম নিবন্ধ রয়েছে। তিনি জানেনই না যে জন্ম নিবন্ধন দিয়েও পাসপোর্ট তৈরি করা যায়।
পাসপোর্ট সম্পর্কে আমাদের সঠিক জ্ঞান এবং জানার আগ্রহ না থাকার কারণে আমরা এই রকম কাল্পনিক ধারণা নিজেদের মধ্যে নিয়ে থাকি। ক্ষেত্র বিশেষে দেখা যায় যার কোন অস্তিত্ব নেই। আর এমন একটা জায়গা থেকেই মূলত সর্বনিম্ন কত বছর বয়সে পাসপোর্ট করা যায় এই প্রশ্নটি উদ্ভব হয়।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৫
আর এই প্রশ্নটি যখন আপনার মাথায় এসেছে তখন হয়তো আপনার মতো অনেকেই এটি ধারণা যে ১৮ বছরে নিচে বা একটি নির্দিষ্ট বছরের নিচে হয়তো পাসপোর্ট তৈরি করা যায় না। তবে আপনাদের এমন ধারণা মোটেও ঠিক নয়। পাসপোর্ট তৈরি করা একজন নাগরিরের অধিকার। তাই যে কোন বয়সী বাংলাদেশি নাগরিক চাইলেই পাসপোর্ট করতে পারবেন। হোক তার বয়স এক বছর কিংবা ৭০ বছর৷
তবে বয়সের উপর ভিত্তি করে আপনি কত পেজ এবং বছরের পাসপোর্ট নিতে পারবেন তার কিছু শর্ত রয়েছে। । তবে মোটাদাগে বলা যায় পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য বয়সটা কোন ম্যাটার না৷ বাংলাদেশের যে কোন বয়সী নাগরিক তার জন্য কিংবা কোন অভিভাবক তার সন্তানের জন্য পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন৷ এবং নিজের জন্য একটি পাসপোর্ট সকলেই নিতে পারবেন।
এখন আপনার যদি NID না থাকে তাহলে কি করবেন? আপনার যদি জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে এবং আপনার বয়স যদি ২০ বছরের নিচে হয় তাহলে ডিজিটাল জন্ম সনদ দিয়েই আপনি পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন৷ আর আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের নিচে হয় তাহলে পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য অবশ্যই পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হবে। আর আপনি যদি আপনার ৬ বছরের কম বয়সী সন্তানের জন্য পাসপোর্ট তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই 3R সাইজ ছবির প্রয়োজন হবে।
শেষ কথা:
আমরা বাংলাদেশিরা স্বভাবগত ভাবেই পরনির্ভরশীল জাতি। যার কারণে কোন কিছু করার প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে বেসিক তথ্য গুলো না জেনেই আর অন্য একজনের তথ্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরি৷ সব ক্ষেত্রে অন্য ব্যক্তির তথ্য ভুল না হলেও অনেক ক্ষেত্রে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অথচ বর্তমান ডিজিটাল যুগে হাতের মোবাইল ফোন দিয়ে অনেক তথ্যই ফ্রিতে জানা যায়। তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই পাসপোর্ট তৈরির বেসিক তথ্য গুলো জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
সর্বনিম্ন কত বছর বয়সে পাসপোর্ট করা যায় এ নিয়ে এই ছিলো আমাদের আলোচনা। এতক্ষন ধৈর্য ধরে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। পাসপোর্ট রিলেটেড প্রায় সব তথ্য আমাদের সাইটে পেয়ে যাবে। তাই প্রয়োজন হলে সাইটটি ঘুরে আসতে পারেন।