বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের নিকট একটি পছন্দনীয় গন্তব্য হলো হাঙ্গেরি। হাঙ্গেরির উন্নত জীবন, উচ্চ বেতন এবং সুবিধাজনক কর্ম পরিবেশ সহজেই বাংলাদেশিদের আকৃষ্ট করে। তাই বাংলাদেশিরা বাংলাদেশ থেকে যেমন সরাসরি হাঙ্গেরি গিয়ে থাকেন তেমনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলো থেকেও অনেকে হাঙ্গেরি গিয়ে থাকেন। এছাড়াও বাংলাদেশিদের মধ্যে হাঙ্গেরি যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ হলো হাঙ্গেরি শেনজেন ভুক্ত একটি দেশ। যার ফলে এখান থেকে সহজেই ইউরোপের অন্যান্য দেশ গুলোতে যাওয়া যায়। হাঙ্গেরি এই সব সুযোগ সুবিধার জন্য হাঙ্গেরি যাওয়ার খরচ তুলনা মূলক অনেক বেশি। যার প্রেক্ষিতে এই আলোচনায় আমরা ২০২৫ সালে এসে হাঙ্গেরি যেতে কত টাকা লাগে তা নিয়ে আলোচনা করবো৷
আরও পড়ুন:
হাঙ্গেরি যেতে কত টাকা লাগে?
হাঙ্গেরি শেনজেন ভুক্ত দেশ হওয়ায় খুব সহজেই হাঙ্গেরি থেকে শেনজেন ভুক্ত ইউরোপের অন্যান্য দেশ গুলোতে যাওয়া যায়৷ শেনজেনের এই সুবিধাটা বেশ তাদের জন্য চমকপ্রদ হলেও বাংলাদেশিদের জন্য এটি বর্তমানে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েক বছর আগেও হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট/ভিসা পাওয়ার রেশিও বেশ ভালো ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই রেশিও খুবই খারাপ। এর অন্যতম কারণ হলো শেনজেন সুবিধা। শেনজেনের সুবিধা বাংলাদেশিরা ১০০% কাজে লাগাতে না পারলেও হাঙ্গেরি যাওয়ার খরচ বৃদ্ধিতে এটি ১০০% কাজে লেগেছে।
আরও পড়ুন: গ্রিক সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
শেনজেন সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরির ভিসা নিয়ে হাঙ্গেরি যাওয়ার পর বাংলাদেশিরা সেখান থেকে ইউরোপের অন্যান্য দেশে পাড়ি জমান৷ যার ফলে বর্তমানে বিশ্বস্ত কিছু এজেন্সির মাধ্যম ছাড়া বাংলাদেশিদের হাঙ্গেরির ভিসা দেওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে বললেই চলে৷ আর তাছাড়া বর্তমানে সব এজেন্সি হাঙ্গেরির ভিসা নিয়ে কাজও করে না। যার ফলে হাঙ্গেরি যাওয়ার খরচ পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফলশ্রুতিতে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে হাঙ্গেরি যাওয়ার জন্য একজন ব্যক্তিকে প্রায় ১০ লক্ষ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে। কোন কোন এজেন্সি বা দালাল তো আবার ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকাও চেয়ে বসছেন। হাঙ্গেরি যাওয়ার এই অস্বাভাবিক খরচের পিছনে অবশ্য যথেষ্ট কারণও রয়েছে।
আরও পড়ুন:
হাঙ্গেরি যেতে অতিরিক্ত খরচের কারণ:
বাংলাদেশ থেকে খুব কম এজেন্সিই হাঙ্গেরির ভিসা নিয়ে কাজ করে। যার ফলে আপনি যখন কোন এজেন্সির কাছে হাঙ্গেরি যাওয়ার জন্য যাবেন। তখন ওই এজেন্সি হাঙ্গেরি ভিসা নিয়ে কাজ না করলেই সে মিডিল ম্যান হিসাবে অন্য এজেন্সির মাধ্যমে আপনাকে হাঙ্গেরি পাঠানোর চেষ্টা করবে । আর যেহেতু আপনি যে এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করছে সেটি মিডিল ম্যান হিসাবে কাজ করছে। সুতরাং মূল এজেন্সির খরচের সাথে তাদের লাভ যোগ করে একটি বড়সড় এমাউন্ট আপনার কাছ থেকে চাইবে এটাই স্বাভাবিক।
আর আপনি যদি সরাসরি এজেন্সির সাথে যোগাযোগ না করে কোন দালালের মধ্যমে হাঙ্গেরি যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাহলে তো বুঝতে পারছেন খরচ কোথায় গিয়ে ঠেকবে। তবে আপনি যদি সঠিক এজেন্সি ধরতে পারেন তাহলে আশা করা যায় সব খরচ মিলিয়ে ৯ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মধ্যেই হাঙ্গেরি যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কানাডা যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
শেষ কথা:
কর্ম পরিবেশ এবং অন্যান্য দিক দিয়ে ইউরোপের চমৎকার একটি দেশ হলো হাঙ্গেরি। আপনি বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে হাঙ্গেরি যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই টিআরসি কার্ড পায়ে যাবেন। যা দিয়ে আপনি চাইলে সহজেই ইউরোপের অন্যান্য দেশে যেতে পারবেন। তবে সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধা হলো হাঙ্গেরি যেতে উচ্চ খরচ। যা এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি৷ আশা করি হাঙ্গেরি যেতে কত টাকা লাগে 2025 নিয়ে আপনার সব ধরনের কনফিউশন ক্লিয়ার হয়ে গেছে।