পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক | mofa.gov.sa visa check by passport number

This Template Designed By E10Script

এই আলোচনায় আমরা মূলত নতুন নিয়মে পাসপোর্ট নাম্বার ব্যবহার করে সৌদি ভিসা চেক করার অনলাইল পক্রিয়া - mofa.gov.sa visa check by passport number সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। সৌদি আরবে কাজের জন্য যাওয়া বা ভিসা প্রস্তুতের সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি। সেগুলো হলো সৌদি আরবে ওয়ার্ক ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন সৌদি নিয়োগকর্তার (কপিল) কাছে আবেদন করতে হবে।  অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট আপডেটেড এবং নির্ধারিত মেয়াদ থাকতে হবে। সৌদি আরবে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে গামকা মেডিকেল টেস্ট পরীক্ষায় ফিট থাকতে পারে। এবং সৌদি আরবের সংস্কৃতি এবং সেদেশের কমন আইন কানুন সম্পর্কে ভালো জানা শোনা রাখতে হবে। 

কারণ আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং কর্মজীবনের নিরাপত্তা উভয় ক্ষেত্রেই এই বিষয় গুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই শুরুতেই এসব বিষয় মাথায় রেখে সৌদি যাওয়ার পরিকল্পনা করলে সৌদি আরবে আপনার কর্ম জীবন এবং কাজের অভিজ্ঞতা তুলনা মূলক অনেক ভালো হবে আশা করা যায়।

সম্পর্কিত: 

নতুন নিয়মে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক করার অনলাইল পক্রিয়া

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক |mofa.gov.sa visa check by passport number:

সৌদি আরব কাজের জন্য যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিসা একটি অপরিহার্য ডকুমেন্ট। ডিজিটালাইজেশনের কারণে সৌদি ভিসা পক্রিয়ার অনেক কিছুই এখন বেশ সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো অনলাইনে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক। সৌদি ভিসার জন্য নতুন আবেদনকারী বা ভিসা ধারীগণ সহজেই তাদের পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসার বর্তমান অবস্থা যাচাই করতে পারেন। নিচে নতুন নিয়মে পাসপোর্ট নম্বর ব্যবহার করে সৌদি ভিসা চেক করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা আপডেট 2025

mofa.gov.sa সাইটে প্রবেশ:

প্রথমে আপনাকে আপনার কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোনের যে কোন একটি ব্রাউজারের ওপেন করে সৌদি সরকারের অফিসিয়াল ভিসা চেকিং ওয়েবসাইট https://visa.mofa.gov.sa/VisaPerson/GetApplicantData এ প্রবেশ করতে হবে। এটি মূলত ভিসা চেক করার জন্য সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন বিভাগের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট। 

প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান:

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর Find Applicant Data অংশে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার, দেশ, ভিসা টাইপ এবং Visa Issuing Authority থেকে ঢাকা সিলেক্ট করুন৷ তারপর Image Code বক্সে যে কোডটি থাকবে সেটি হুবুহু লিখে Search বাটনে ক্লিক করুন।  

আরও পড়ুন: ক্রোয়েশিয়া ভিসা আপডেট ২০২৫

Application Number সংগ্রহ:

পরবর্তী পেজে আপনার ভিসার এপ্লিকেশন কপিটি প্রদর্শিত হবে। সেখান থেকে আপনার ভিসার Application Number টি সংগ্রহ করুন। আপনার এপ্লিকেশন কপির ডান দিকের একদম উপরে Application Number টি পেয়ে যাবে। আপনি চাইলে এই কপিটিও প্রিন্ট করে রাখতে পারেন। 

ভিসা চেক:

এপ্লিকেশন নাম্বারটি সংগ্রহ করা হয়ে গেলে আপনি নতুন নিয়মে সরাসরি সৌদি ভিসা চেক করার জন্য সরাসরি এই https://visa.mofa.gov.sa/Home/Index লিংকে ক্লিক করুন। এবার আপনার সামনে একটি পপ আপ ট্যাব আসবে। ট্যাবের উপরের ডান কর্নারে ক্রসে চিহ্নে ক্লিক দিয়ে ট্যাবটি কেটে দিন৷ ভাষা আরবি দেখালে মেনু আপশনে ক্লিক করে ভাষা ইংরেজি করে নিন। এরপর Query অংশে Inquiry type এ ক্লিক করে Visa Application Number সিলেক্ট করে দিন৷ তারপর Application Number বক্সে এপ্লিকেশন নাম্বার এবং Passport Number বক্সে আপনার পাসপোর্ট নাম্বারটি সঠিক ভাবে লিখে Captcha পূরণ করে Search বাটনে ক্লিক করুন। 

সৌদি ভিসা চেক

আবার আপনার সামনে আপনার ভিসার কপিটি প্রদর্শিত হবে। যদি সকল তথ্য সঠিক ভাবে দেওয়ার পরও এখানে আপনার ভিসার কপিটি প্রদর্শিত না হয় তাহলে বুঝবেন আপনি ভিসা এখনো হয়নি।  

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া কলিং ভিসার আজকের খবর 2025

সৌদি আরবের কোন ভিসা ভালো?

সৌদি আরবের কোন ভিসা ভালো

সৌদি আরবের কোন ভিসা ভালো বা কোন ভিসা ঝুকিমুক্ত এই বিষয়টি অনেক গুলো ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। তাই সৌদি আরবের ভিসা সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে এই বিষয় গুলোর উপর নির্ভর করে ভিসার ধরন নির্বাচন করতে হবে। নিচে সৌদি আরবের কোন ভিসা কাদের জন্য ভালো সে সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:

ফ্রি ভিসা - Saudi arabia work visa :

ফ্রি ভিসা বলে আসলে কোন ভিসা সার্ভিস সৌদি আরবে চালু নেই। তবে বাংলাদেশিদের নিকট এই নামটি বেশ পরিচিত। আসলে সৌদি আমেল আইদি/আইডি ভিসাই বাংলাদেশিদের নিকট ফ্রি ভিসা নামে পরিচিত। এই ভিসাটি আপনার ভালো হবে কিনা বা আপনার জন্য না হলে কাদের জন্য ভালো এটা জানার আগে এই ভিসাটি কি আগে সেটি জানতে হবে। 

আমেল আইদি বা আমেল আইডি মূলত ইস্যু করা হয় কোন একটি কম্পানির অধীনে। তবে এই ভিসায় সৌদি যাওয়ার পর আপনাদে সে কম্পানিতে যোগদান না করে অর্থাৎ সে কোম্পানিতে আপনার পাসপোর্ট জমা না দিয়ে অন্যত্র আপনি স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেন। 

এখন প্রশ্ন হতে পারে এই ভিসা তাহলে কাদের জন্য ভালো এবং কাদের উপযুক্ত নয়। এই ফ্রি ভিসায় অনেকে সৌদি আরব দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। আবার অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এই ফ্রি ভিসা মূলত তাদের জন্য উপযুক্ত যারা বিভিন্ন টেকনিকাল এবং কারিগরি কাজে দক্ষ। অর্থাৎ যারা ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল কাজে দক্ষ বা যারা কন্সট্রাকশন, টাইলস, প্লাম্বিং ইত্যাদি কাজে দক্ষ এই ভিসাটি মূলত তাদের জন্য ভালো। কারণ তারা তাদের দক্ষতা নিয়ে কোন কোম্পানিতে চাকরি করলে যা বেতন পাবেন তার চেয়ে কোন কোম্পানিতে না ঢুকে চুক্তিভিত্তিক কাজ করে অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবে। 

অধিক ইনকামের সুযোগ থাকলেও এই ভিসার কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। অর্থাৎ আপনার পরিচিত কেউ যদি সৌদি আরবে না থাকে তাহলে এই ভিসায় সৌদি যাওয়া আপনার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। 

কারণ আপনি সেখানে যাওয়ার সাথে সাথেই কাজ পাবেন না। কাজ পেতে কিছু দিন সময় লাগবে। কিছু সময় আপনার পরিচিত ব্যক্তির কাছে থেকে, তার টাকায় খেয়ে আপনাকে চলতে হবে পারে। অতএব বলা যায় আপনি যদি কারিগরি কাজে দক্ষ হোন এবং সৌদি আরবে আপনার পরিচিত কেউ থাকে তাহলে আমেল আইদি বা ফ্রি ভিসা আপনার জন্য একদম উপযুক্ত।

কোম্পানি ভিসা - Saudi arabia company visa: 

সৌদি আরবের ভালো ভিসা মধ্যে টপ একটি ভিসা হলো কোম্পানি ভিসা। কোম্পানি ভিসা গুলো শতভাগ নিরাপদ এবং ঝুঁকি মুক্ত। তবে সৌদি আরবের খুব কম প্রতিষ্ঠানই সরাসরি কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে থাকে। যার ফলে এজেন্সি বা দালাদের মাধ্যমে কোম্পানি ভিসা নামে অন্য ভিসা পাওয়ার একটি সমূহ সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনারা যখন সৌদি আসবেন তখন কোম্পানি ভিসাটি আসল কিনা তা যাচাই বাছাই করে আসবেন। 

ক্ষেত্রে বিশেষে সৌদির অন্যান্য ভিসা গুলোর তুলনায় কোম্পানি ভিসা গুলোতে বেতন কিছুটা কম মনে হতে পারে। তবে সৌদি আরব আসার পর কোম্পানির অন্যন্য সুযোগ সুবিধা মিলিয়ে বেশ ভালো এমাউন্টের একটি বেতন আপনি পেয়ে যাবে। আর আপনি যেহেতু সরাসরি কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত হবেন সেহেতু সৌদি আরবের কর্ম নীতিমালা আনুসারে তারা আপনাকে সকল সুযোগ সুবিধা এবং সময় মত বেতন পরিশোধ করতে বাধ্য। তাই বলা যায় সৌদি আরবে নিশ্চিত কর্মসংস্থানের একটি সেরা ভিসা হচ্ছে কোম্পানি ভিসা।

তবে যেহেতু খুব কম সংখ্যক কোম্পানি সরাসরি ভিসা প্রদান করে থাকে তাই কোম্পানি ভিসা পাওয়াটা কিছু কঠিন। আর তারা অনেক যাচাই বাছাই পরীক্ষা, ট্রেনিং, ভাইভা ইত্যাদির পর কোন ব্যক্তিকে কোম্পানি ভিসা প্রদান করে। আপনি যদি সফলতার সাথে এই ধাপ গুলো অতিক্রম করতে পারেন তাহলে আপনি আপনার জন্য একটি সেরা ভিসা নিশ্চিত করতে পারবেন। 

আর একটি ভাবে কোম্পানি ভিসা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেটি হলো আপনার পরিচিত কেউ যদি সৌদি আরবের কোন কোম্পানিতে চাকরি করে এবং জরুরি ভিত্তিতে সে কোম্পানিতে লোকবলের প্রয়োজন হয়। তাহলে আপনার পরিচিত ব্যক্তিটি কোম্পানিতে বলে আপনার জন্য একটি কোম্পানি ভিসা ম্যানেজ করতে পাতেন। 

সর্বোপরি আপনি যদি সময় মত বেতন, কোম্পানির অন্যান্য সুযোগ সুবিধা, ২ বছর পর বাড়ি আসার জন্য ছুটি, চুক্তি শেষ ৫/৬ মাসের বেতনের নিশ্চয়তা চান তাহলে কোম্পানি ভিসা আপনার জন্য একটি সেরা চয়েস। 

সাপ্লাই কোম্পানি ভিসা - Saudi arabia supply visa:

সৌদি আরবের ওয়ার্ক ভিসার মধ্যে একটু নিচের দিকের ভিসা হলো সাপ্লাই কোম্পানি ভিসা। তবে বাস্তবতা হলো দেশের বিভিন্ন এজেন্সি এই ভিসাতেই সব চেয়ে বেশি লোক সৌদিতে প্রেরণ করে। অনেকেই সাপ্লাই কোম্পানি ভিসা নিয়ে সন্দিহানের মধ্যে থাকেন। তাই শুরুতেই সাপ্লাই কোম্পানি ভিসা নিয়ে কিছুটা আলোচনা করা যাক। সাপ্লাই কোম্পানি ভিসা মূলত কোন কোম্পানি ভিসা না। এটি একটি নিয়োগ এজেন্সির ভিসা। 

অর্থাৎ সৌদি আরবের একটি প্রতিষ্ঠান আপনাকে নিয়োগ দিবে কিন্তু তাদের কাছে কোন কাজ থাকে না। তারা বিভিন্ন কোম্পানির সাথে বিভিন্ন মেয়াদে চুক্তি করে সেখানে কাজ করার জন্য তারা আপনাকে প্রেরণ করবে। সে কোম্পানির সাথে চুক্তি শেষ হয়ে গেলে একই ভাবে আপনাকে অন্য কোন কম্পানিতে বা অন্য কাজে নিয়োগ করবে। এটিই হচ্ছে মূলত সাপ্লাই কোম্পানি ভিসা।

সাপ্লাই কোম্পানির ভিসা গুলোতে মূলত বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সব কিছু কপিল বা মুদিরের উপর নির্ভর করে। কারণ আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করবেন সে কোম্পানি সরাসরি আপনাকে বেতন প্রদান করবে না। কোম্পানি আপনার নিয়োগকর্তা বা কপিলের নিকট বেতন প্রেরণ করবে। সেখান থেকে কপিল আপনাকে বেতন প্রদান করবে। যেহেতু বেতন সহ অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধা তৃতীয় পক্ষের হাতে থাকে সেহেতু এই ভিসায় আপনার স্বার্থ সংস্লিষ্ট অনেক বিষয়ই লঙ্ঘিত হয়ে থাকে। 

আর সব চেয়ে বাজে বিষয় হচ্ছে সৌদি যাওয়ার সাথে সাথে তারা আপনার পাসপোর্ট নিয়ে নিবে। যার ফলে তারা যেভাবে চাইবে আপনাকে সেভাবে কাজ করা ছাড়া আপনার কাছে আর কোন উপায় থাকেনা। সব দিক বিবেচনায় বলা যায় সৌদি ভিসা গুলোর মধ্যে সাপ্লাই কোম্পানি ভিসা ততটাও ভালো কোন ভিসা নয়৷ 

শেষ কথা:

এই ছিল মোটামুটি আলোচনা। অনলাইনে সৌদি ভিসা চেক করার প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত। পাসপোর্ট নম্বর ব্যবহার করে সহজেই আপনি যে কোনো সময়ে আপনার ভিসা হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে পারবেন। এই ভিসা সম্পর্কিত এই ধরণের প্রক্রিয়া গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে, সৌদি যাওয়ার পক্রিয়া আরও সহজ হবে ইনশাল্লাহ। আশা করি কিভাবে নতুন নিয়মে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক করার তার অনলাইল পক্রিয়া সম্পর্কে আপনার ধারনা স্পষ্ট হয়েছে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

Sazzadul Islam

আমি সাজ্জাদুল ইসলাম৷ দীর্ঘ সময় থেকে পাসপোর্ট, ভিসা এবং প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করছি৷ সে অভিজ্ঞতার আলোকে এখানে নিয়মিত পাসপোর্ট, ভিসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমসাময়িক তথ্য ও আপডেট দেওয়ার চেষ্টা করি।

Post a Comment

Previous Post Next Post
This Template Designed By E10Script