Skip to main content

ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন | খুঁটিনাটি সব কিছু

পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ন অনুসঙ্গ হচ্ছে পুলিশ ভেরিফিকেশন৷ আপনি নতুন পাসপোর্ট তৈরি করেন বা পুরণো পাসপোর্ট রিনিউ করেন সর্বক্ষেত্রেই আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক। কারণ দেশের বাহিরে আপনার একমাত্র পরিচয় পত্র হচ্ছে আপনার পাসপোর্ট। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ নথিতে যাতে কোন মিথ্যা বা ভুল তথ্য না থাকে সেজন্যই পুলিশ ভেরিফিকেশন৷ এই আলোচনায় আমরা ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে আপনাদের সকল অস্পষ্ট ধারণা দূর করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় প্রবেশ করা যাক৷

আরও পড়ুন : ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট চেক ২০২৪

ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন : 

এই অংশে পুলিশ ভেরিফিকেশন কি, কিভাবে পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয় সহ ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশনের যাবতীয় সকল তথ্য ধাপে ধাপে আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করব। 

আরও পড়ুন : ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে 

ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন

পুলিশ ভেরিভিকেশন কি?

পুলিশ ভেরিফিকেশন হলো একটি যাচাই প্রক্রিয়া যা জেলা পুলিশের স্পেশাল শাখা কর্মকর্তা করে থাকে। এটি সাধারণত পাসপোর্ট তৈরি, চাকরির নিয়োগ ইত্যাদির সময় করা হয়৷ এটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নামেও পরিচিত৷ এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সাধারণত ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই করা হয়, যেমন নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ,কোন মামলার সাজা প্রাপ্ত আসামী কিনা বা তার নামে কোন মামলা চলমান আছে কিনা ইত্যাদি। মূলত এই তথ্যগুলি যাচাই করে পুলিশ বিভাগ নিশ্চিত হয় যে তারা যথাযথ এবং নিরাপদ। 

পুলিশ ভেরিফিকেশন কারা করে?

পুলিশ ভেরিফিকেশন শব্দ দুটো দেখেই হয়ত বুঝে গেছেন যে এই ভেরিফিকেশক পুলিশ কর্তৃক সম্পাদিত হয়। কিন্তু কোন পুলিশ আসলে ই পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশন করে? থানার পুলিশ? ডিবি পুলিশ নাকি অন্য কোন কোন পুলিশ?  আমরা অনেকেই জানি না পুলিশ ভেরিফিকেশন আসলে কারা করে। আর সঠিক জ্ঞান না থাকার কারনে ধারণা করি হয়ত থানার পুলিশ এই ভেরিফিকেশন করে৷ 

কিন্তু আমাদের এই ধারণাটি পুরোপুরি সঠিক নয়৷ মূলত পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজটি করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের জেলা বিশেষ শাখা (ডিএসবি)৷ তাই ই পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনি যদি জেলায় বাসিন্দা হোন সেইক্ষেত্রে  জেলার ডিএসবি অফিসে যোগাযোগ করবেন। আর যদি আপনি মেট্রোপলিটন এলাকার বাসিন্দা হন তাহলে আপিনি উক্ত মেট্রোপলিটন এলাকার সিটি এসবি অফিসে যোগাযোগ করবেন। 

আরও পড়ুন : ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্টের আবেদন 

কিভাবে পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়? 

পুলিশ ভেরিফিকেশন একটি গোপনীয় বিষয়। তাই ই পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনের সম্পূর্ণ পক্রিয়া বলা দূরহ। তবে যতটুকু জানা যায় তা হলো, পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রকাশ্য এবং গোপনীয় উভয় ভাবেই হতে পারে। প্রকাশ্য ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে ডিএসবি পুলিশ কর্মকর্তা সরাসরি আপনার এলাকায় দিয়ে সরজমিনে তদন্ত করে দেখতে পারে আপনি যে ঠিকানা পাসপোর্টের আবেদনের সময় ব্যবহার করেছেন তা সঠিক কিনা। উল্লেখ্য আপনি যদি আবেদনের আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা আলাদা আলাদা ব্যবহার করেন তাহলে আপনার দুই ঠিকানাই পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে। তাই ঝামেলা এড়াতে চাইলে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা একটি ব্যবহার করাই ভাল। 

আর গোপনীয় ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে পুলিশ তার রেকোর্ড বুক চেক করে দেখবে যে আবেদনকারীর নামে কোন মামলা চলমান আছে কিনা বা কোর্ট থেকে তার বিদেশ ভ্রমনের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা। যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে ডিএসবি কর্মকর্তা আপনার নামে পজিটিভ রিপোর্ট প্রদান করবে আর যদি সবকিছু ঠিক না থাকে তাহলে নেগেটিভ রিপোর্ট প্রদান করবেন। 

পুলিশ ভেরিফিকেশনে কি কি দেখে? 

  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জাতীয়তা।
  • আবেদনকারীর নাগরিক সনদ। 
  • আবেদনকারীর স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা।
  • আবেদনকারীর পেশা 
  • আবেদনকারী ফৌজদারি মামলা আসামি কিনা৷ 
  • আবেদনকারীর উপর বিদেশ ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা ইত্যাদি৷ 

এছাড়াও আবেদনকারীর পুরাতন পাসপোর্ট (যদি থাকে), পূর্বে কোন ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি হলে তার রায়ের কাগজ পত্র ইত্যাদি যাচাই করে।

পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনে কত দিন লাগে? 

যেহেতু ই পাসপোর্টের একটি নির্দিষ্ট ডেলিভারি ডেট থাকে তাই পুলিশ ভেরিফিকেশনে খুব বেশি দিন সময় লাগে না। সাধারণত ২-৪ দিনের মধ্যেই পাসপোর্টের ভেরিফিকেশন পক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যায়। তবে বিশেষ কোন ঝামেলার ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি দিন সময় লাগতে পরে। তবে সেটা একেবারে কমন কোন ঘটনা না। 

শেষ কথা : 

পরিশেষে বলতে চাই ই পাসপোর্টের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই ই পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনে সব সময় সঠিক এবং সত্য তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আর কোন প্রয়োজনে যদি এসবি কর্মকর্তাদের কোন সহায়তার প্রয়োজন হয় তাহলে আবশ্যই সহায়তা করার চেষ্টা করবেন। এবং কোন প্রয়োজনে যদি আপনাকে স্বাক্ষাত করতে বলে তাহলে আবশ্যই তাদের সাথে স্বাক্ষাত করবেন। এই ক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার বিশেষ কোন প্রয়োজন নেই। এই ছিল ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। আশা করি পোস্টটি আপনার জন্য বেশ সহায়ক হবে। 

Popular Posts

এ চালান দিয়ে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম ২০২৪

ঝামেলাহীন বিদেশ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে গত ২২ জানুয়ারী ২০২০ ইং তারিখে ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই যার সুবিধা পেতে শুরু করছে বাংলাদেশ। ই-পাসপোর্টের একটি অন্যতম সুবিধা হচ্ছে পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া। আপনি কোন প্রকার দালাল বা কাগজ সত্যায়নের ঝামেলা ছড়াই নিজে নিজেই যেকোন মেয়াদি ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন। আর আবেদন প্রক্রিয়াও একদম সহজ। আপনি যদি ই-পাসপোর্টের আবেদন সম্পর্কে না জানেন তাহলে এই পোস্টটি দেখুন :  ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন । আর ই-পাসপোর্টের অনলাইন আবেদনের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে পাসপোর্টের আবেদন ফি পরিশোধ। এই পোস্টে আমরা অফলাইন এ চালান দিয়ে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আরও পড়ুন :  ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এ চালান দিয়ে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম : ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমেই আবেদন ফি প্রদান ব্যবস্থা রয়েছে। অফলাইন পেমেন্ট মাধ্যম হচ্ছে এ চালান। অফলাইন পেমেন্ট হিসাবে সংজ্ঞায়িত হলেও এটিও মূলত অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম। কারণ এ চালান দিয়ে ই-পাসপোর্টের ফি জমা দেয়ার জন্য আপনার ব্

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২৪

ই পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট যেখানে একটি ইলেকট্রনিক চিপের মধ্যে পাসপোর্টধারীর প্রয়োজনীয় সকল তথ্য রক্ষিত থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ সহ ১২০ টি দেশে ই পাসপোর্ট চালু আছে। বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট চালু হওয়ার ফলে ই পাসপোর্টধারী ব্যক্তিগণ ইমিগ্রেশনের ঝামেলা এড়িয়ে ই গেট ব্যবহার করে সহজেই বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন। অনেকে ই পাসপোর্টকে আলাদা কোন পাসপোর্ট মনে করে থাকেন। বাস্তবে ই পাসপোর্ট আলাদা কোন ধরনের পাসপোর্ট নয় এটি মূলত এম আর পি পাসপোর্টেরই ডিজিটাল ভার্সন। যেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। এই পাসপোর্ট ডিজিটার হওয়ায় ই পাসপোর্ট করার পক্রিয়াও বেশ সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত। এই আলোচনায় আমরা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ নিয়ে আপনাদের একটি স্পষ্ট ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ৷  ই পাসপোর্ট করার নিয়ম :  আমরা এতক্ষন আপনাদের ই পাসপোর্ট সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। যদিও ই পাসপোর্ট করার নিয়মের উপর আমাদের সাইটে আলাদা আলাদা পোস্ট পোস্ট রয়েছে তবুও আপনাদের সুবিধার জন্য পুরো বিষয়টাকে এই পোস্টে আর একবার গোছালো ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম।  ই পাসপোর্ট কর

বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা কিভাবে দেখবেন?

বর্তমানে বাংলাদেশ ই পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করায় এখন খুব সহজেই দেশ কিংবা দেশের বাহিরে থেকে সহজেই  ই পাসপোর্টের আবেদন করা যায়। এমনি কি আপনার আবেদনটি এখন কোন অবস্থায় আছে অর্থাৎ বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা সেটিও খুব সহজেই যেকোন স্থান থেকে দেখা যায়। তবে এর জন্য প্রয়োজন একটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোন এবং সঠিক জ্ঞান। আর পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের এই কাজকে একটু সহজ করে দিতে এই আলোচনায় আমরা বহুল জিজ্ঞাসিত একটি প্রশ্ন বাংলাদেশে আমার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা কিভাবে দেখব? এটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় প্রবেশ করি। আরও পড়ুন : ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৪ কিভাবে বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা দেখবেন? বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা তা জানার জন্য নিচের স্টেপ গুলো ভালভাবে অনুসরণ করুন।  Step 01:  বাংলাদেশে আপনার ই পাসপোর্ট রেডি হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল হতে ই-পাসপোর্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট " https://www.epassport.gov.bd /" এ প্রবে