ই পাসপোর্টের সুবিধা ও অসুবিধা ২০২৪
ই-পাসপোর্ট হলো এক ধরনের ইলেক্ট্রনিক বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট যা পুরাতন এম আর পি পাসপোর্টের একটি উন্নত সংস্করণ। এই পাসপোর্টে একটি ইলেক্ট্রনিক মাইক্রো চিপ যুক্ত থাকে যা ই-পাসপোর্টধারীর সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করে। এই ইলেক্ট্রনিক চিপে সাধারণত পাসপোর্টধারীর ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন পাসপোর্টধারীর নাম, ছবি, জন্ম তারিখ, জাতীয়তা, পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ এবং মেয়াদ ইত্যাদি তথ্য থাকে। এই পাসপোর্টে বিশেষ সিকিউরিটি ব্যবস্থা হিসাবে ব্যবহারকারীর ছবি, ফিঙ্গার প্রিন্ট, চোখের আইরিশের ছবিও ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হয়। যার কারণে ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভ্রমণ করার সময় পাসপোর্টধারীকে সনাক্ত করতে বিশেষ কোন বেগ পেতে হয় না। ই গেটের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাসপোর্টধারীকে সনাক্ত করা যায়। এটা ছিল ই পাসপোর্ট নিয়ে মোটামুটি বেসিক আলোচনা। এই পোস্টে আমরা ই পাসপোর্টের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা চেষ্টা করব। ইনশআল্লাহ।
আরও পড়ুন : ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে ই পাসপোর্ট চেক
ই-পাসপোর্টের কিছু মৌলিক সুবিধা :
এই অংশে ই-পাসপোর্টের মৌলিক কিছু সুবিধা বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরে হলো:
সুরক্ষা:
ই-পাসপোর্টের একটি অন্যতম সুবিধা হলো এর সুরক্ষা ব্যবস্থা। ই-পাসপোর্টে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত থাকে। ই-পাসপোর্টে এক ধরনের বিশেষ বায়োমেট্রিক চিপ ব্যবহার করা হয়৷ যা আপনার তথ্যের শতভাগ সুরক্ষা নিশ্চয়তা প্রদান করে।
অনলাইন আবেদন:
ই-পাসপোর্টের উল্লেখ যোগ্য আরও একটি সুবিধা হলো এর আবেদন পক্রিয়া। ই পাসপোর্ট করার জন্য যে কোন সময় অনলাইনেই আবেদন করা যায়, আবেদন করার জন্য আর দিনের পর দিন স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসে ঘুরতে হয়না। আর এর আবেদন প্রক্রিয়াও সহজ এবং দ্রুত সময়ে করা যায়। এছাড়া ই পাসপোর্টের নতুন সংস্করণ বা রিনিউয়ালের জন্যও অনলাইনেই আবেদন করা যায়। যা পাসপোর্ট রিলেটেড ঝামেলা অনেকটাই কমিয়ে এনেছে।
রিলেটেড পোস্ট :
পাসপোর্টের অবস্থা যাচাই :
ই-পাসপোর্টের আবেদন করার যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি পাসপোর্ট হয়েছে কিনা তা যাচাই করাও বিশেষ সুবিধা রয়েছে। ই পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে যেমন আবেদন করা যায় তেমনি অনলাইনে আপনার আবেদনের অবস্থা বা স্ট্যাটাসও চেক করা যায়। আপনি দেশে কিংবা দেশের বাহিরে যে কোন স্থান থেকে অনলাইনে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা, তথ্যের নিশ্চিতকরণ, পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা বা পাসপোর্ট বিতরণের জন্য রেডি হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট রেডি হয়েছে কিনা যাচাই
ই গেট ব্যবহার:
ই-পাসপোর্টের অন্যতম আধুনিক সুবিধা হচ্ছে এটি। ই-পাসপোর্ট ধারীদের ই গেট সম্পন্ন এয়ারপোর্ট গুলোতে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া বেশ সহজ হয়ে থাকে যা ভ্রমণকারীদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করে। যেসব এয়ারপোর্টে ই গেট রয়েছে সেসব এয়ারপোর্টে ই-পাসপোর্ট ধারীরা সহজেই ই গেট ব্যবহার করে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ন করতে পারে। তাদের আলাদা করে অপেক্ষা বা লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন : ফেসবুক ফলোয়ার বাড়ানোর উপায়
ই-পাসপোর্টের অসুবিধা :
আধুনিক এবং উন্নত পাসপোর্ট ব্যবস্থার নাম হচ্ছে ই পাসপোর্ট। তাই ই পাসপোর্টের উল্লেখযোগ্য তেমন কোন অসুবিধা নেই বললেই চলে। ই-পাসপোর্টের অসুবিধার মধ্যে একটি হচ্ছে এ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের ঘাড়তি। এছাড়া আর তেমন কোন অসুবিধা নেই বললেই চলে। আবেদনকারী অনেক ক্ষেত্রেই ই পাসপোর্ট কি, ই পাসপোর্টের জন্য কি কি কাগজ পত্র প্রয়োজন সেটি তারা জানেই না। যার ফলে আবেদন করার সময় অনেকেই ভুল করে থাকে। আর ই-পাসপোর্ট আবেদনে সঠিক তথ্য সরবরাহ না করার কারনে ভুল তথ্যের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া অনেক সময় স্থগিত হয় এবং পাসপোর্টের প্রাপ্তি বা বিতরণের সমস্যা হয়। আপনি যদি নির্ভুল ভাবে ই পাসপোর্টের আবেদন করতে চান তহলে এই পোস্টটি দেখুন : অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
শেষ কথা :
ই পাসপোর্টের আবেদন করার পূর্বে প্রত্যেক আবেদনকারীর ই পাসপোর্টের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। পাশিপাশি ই পাসপোর্টের আবেদন এবং ফি পরিশোধের নিয়ম গুলো জানাও আবশ্যই। আর এই বিষয় গুলো সম্পর্কে না জানার কারনেই মূলত প্রতারকরা আবেদনকারীর নিকট হতে পাসপোর্ট করিয়ে দেওয়ার নামে বিভিন্নভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করে। তবে আশা করি এই আলোচনা আমরা আপনাদের ই পাসপোর্টের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। এমন গুরুত্ব পূর্ন তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।