Skip to main content

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২৪

ই পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট যেখানে একটি ইলেকট্রনিক চিপের মধ্যে পাসপোর্টধারীর প্রয়োজনীয় সকল তথ্য রক্ষিত থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ সহ ১২০ টি দেশে ই পাসপোর্ট চালু আছে। বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট চালু হওয়ার ফলে ই পাসপোর্টধারী ব্যক্তিগণ ইমিগ্রেশনের ঝামেলা এড়িয়ে ই গেট ব্যবহার করে সহজেই বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন। অনেকে ই পাসপোর্টকে আলাদা কোন পাসপোর্ট মনে করে থাকেন। বাস্তবে ই পাসপোর্ট আলাদা কোন ধরনের পাসপোর্ট নয় এটি মূলত এম আর পি পাসপোর্টেরই ডিজিটাল ভার্সন। যেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। এই পাসপোর্ট ডিজিটার হওয়ায় ই পাসপোর্ট করার পক্রিয়াও বেশ সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত। এই আলোচনায় আমরা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ নিয়ে আপনাদের একটি স্পষ্ট ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ৷ 

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম : 

আমরা এতক্ষন আপনাদের ই পাসপোর্ট সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। যদিও ই পাসপোর্ট করার নিয়মের উপর আমাদের সাইটে আলাদা আলাদা পোস্ট পোস্ট রয়েছে তবুও আপনাদের সুবিধার জন্য পুরো বিষয়টাকে এই পোস্টে আর একবার গোছালো ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। 

ই পাসপোর্ট করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সংগ্রহ করে নিজের কাছে রাখতে হবে। যেমন : জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ, পিতামাতার NID কার্ড, নাগরিকত্ব সনদ, পেশার প্রমান পত্র ইত্যাদি। ই পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজ লাগে তার উপর আমাদের একটি বিস্তারিত লেখা রয়েছে আপনি চাইলে সেটি দেখে নিতে পারেন : ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। 

উপরে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় কাগজ গুলো সংগ্রহ করার পর আপনাকে ই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে৷ আপনি নিজে কিংবা অন্য কারো সাহায্য নিয়ে আবেদনের কাজটি করে ফেলতে পারেন। যদি আপনি নিজে ই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে প্রথমে https://www.epassport.gov.bd/ সাইটে আপনার একটি একাউন্ট খুলে নিতে হবে। একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে লগ ইন করার পর আবেদনের জন্য উক্ত সাইটের মেনু আপশন থেকে Apply Online -এ ক্লিক করতে হবে। অথবা Apply Onlie for e-Passport/Re-Issue বক্স থেকে Directly to Online Application বাটনেও ক্লিক করে পরবর্তী সকল স্টেপ যথাযথ ভাবে ফুলফিল করতে হবে। কিভাবে স্টেপ বাই স্টেপ ই পাসপোর্টের আবেদন করতে হয় তা জানতে এই পোস্টটি দেখুন : ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম অনলাইন। 

অনলাইনে আবেদন করা হয়ে গেলে নির্দিষ্ট তারিখে গিয়ে আপনার ছবি, ফিঙ্গার প্রিন্ট, আইরিশ এবং এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা দিলেই দিলেই মোটামুটি আপনার কাজ শেষ। এরপর পাসপোর্ট অফিস আপনার প্রদেয় সকল কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করা শেষে আপনার পারপোর্টটি রেডি হলে আপনাকে জানাবে। তখন আপনি আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্টটি সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনার পাসপোর্ট রেডি হয়েছে কিনা সেটি আপনি অনলাইনেও চেক করতে পাবেন। তার জন্য এই পোস্টটি ভালভাবে অনুসরণ করুন : ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে ই পাসপোর্ট চেক করুন

ই পাসপোর্ট করার খরচ : 

ই পাসপোর্ট করার খরচ মূলত নির্ভর করে আপনি কত পেজের ই পাসপোর্ট নিবেন এবং কত দিনের মধ্যে ডেলিভারি নিবেন তার উপর। তবে ই পাসপোর্ট করতে যে খচর হয় সেটি হচ্ছে একেবারে সরকারি ফি। এর বাহিরে দালাল বা অন্য কোন কারণে কোন খরচ হয় না। আর এই ফি দেওয়াটাও অনেকটা ঝামেলা মুক্ত। কারণ আপনি মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করেই এ চালান এর মাধ্যমে ই পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন। এই বিষয়ে আমাদের আলাদা একটি পোস্ট আছে সেটি দেখে নিতে পারেন।

৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট ফি :

৪৮ পৃষ্টার রেগুলার ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৪,০২৫ টাকা, এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৬,৩২৫ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৮,৬২৫ টাকা। 

৬৪ পৃষ্টার রেগুলার ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৬,৩২৫ টাকা, এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৮,৬২৫ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ১২,০৭৫ টাকা। 

১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট ফি :

৪৮ পৃষ্টার জন্য রেগুলার ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৫,৭৫০ টাকা, এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৮,০৫০ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ১০,৩৫০ টাকা। 

৬৪ পৃষ্টার জন্য রেগুলার ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৮,০৫০ টাকা, এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ১০,৩৫০ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ১৩,৮০০ টাকা। 

উল্লেখ্য 

  • রেগুলার ডেলিভারির সময় হচ্ছে ১৫ কার্যদিবস।
  • এক্সপ্রেস ডেলিভারির সময় হচ্ছে ০৭ কার্যদিবস।
  • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির সময় হচ্ছে ০২ কার্যদিবস।
বাংলাদেশের মধ্যে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফি

শেষ কথা : 

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ নিয়ে এই ছিল মোটামুটি আলোচনা। আসলে এটি একটি বিশাল আলোচনার বিষয় যা এক পোস্টে কভার করা সম্ভব নয়। তাই এখানে আমরা সংক্ষিপ্ত ভাবে আপনাদের এই বিষয়ে একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি কোন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের মেনশন দেওয়া পোস্ট গুলো পড়ুন। আপনার সকল বিষয় ক্লিয়ার হয়ে যাবে। এছাড়াও আমাদের ব্লগটি ডেডিকেটেডলি ই পাসপোর্টের উপর তৈরি করা। তাই আমাদের ব্লগটি ঘুরে দেখুন অনেক প্রয়োজনীয় পোস্ট খুঁজে পাবেন। যা আপনার ই পাসপোর্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে।

Popular Posts

এ চালান দিয়ে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম ২০২৪

ঝামেলাহীন বিদেশ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে গত ২২ জানুয়ারী ২০২০ ইং তারিখে ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই যার সুবিধা পেতে শুরু করছে বাংলাদেশ। ই-পাসপোর্টের একটি অন্যতম সুবিধা হচ্ছে পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া। আপনি কোন প্রকার দালাল বা কাগজ সত্যায়নের ঝামেলা ছড়াই নিজে নিজেই যেকোন মেয়াদি ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন। আর আবেদন প্রক্রিয়াও একদম সহজ। আপনি যদি ই-পাসপোর্টের আবেদন সম্পর্কে না জানেন তাহলে এই পোস্টটি দেখুন :  ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন । আর ই-পাসপোর্টের অনলাইন আবেদনের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে পাসপোর্টের আবেদন ফি পরিশোধ। এই পোস্টে আমরা অফলাইন এ চালান দিয়ে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আরও পড়ুন :  ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এ চালান দিয়ে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম : ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমেই আবেদন ফি প্রদান ব্যবস্থা রয়েছে। অফলাইন পেমেন্ট মাধ্যম হচ্ছে এ চালান। অফলাইন পেমেন্ট হিসাবে সংজ্ঞায়িত হলেও এটিও মূলত অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম। কারণ এ চালান দিয়ে ই-পাসপোর্টের ফি জমা দেয়ার জন্য আপনার ব্

বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা কিভাবে দেখবেন?

বর্তমানে বাংলাদেশ ই পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করায় এখন খুব সহজেই দেশ কিংবা দেশের বাহিরে থেকে সহজেই  ই পাসপোর্টের আবেদন করা যায়। এমনি কি আপনার আবেদনটি এখন কোন অবস্থায় আছে অর্থাৎ বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা সেটিও খুব সহজেই যেকোন স্থান থেকে দেখা যায়। তবে এর জন্য প্রয়োজন একটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোন এবং সঠিক জ্ঞান। আর পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের এই কাজকে একটু সহজ করে দিতে এই আলোচনায় আমরা বহুল জিজ্ঞাসিত একটি প্রশ্ন বাংলাদেশে আমার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা কিভাবে দেখব? এটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় প্রবেশ করি। আরও পড়ুন : ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৪ কিভাবে বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা দেখবেন? বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা তা জানার জন্য নিচের স্টেপ গুলো ভালভাবে অনুসরণ করুন।  Step 01:  বাংলাদেশে আপনার ই পাসপোর্ট রেডি হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল হতে ই-পাসপোর্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট " https://www.epassport.gov.bd /" এ প্রবে