This Template Designed By E10Script
পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ: বর্তমানে বাংলাদেশ এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করেছে। ই-পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট। যেখানে একটি ইলেকট্রনিক চিপের মধ্যে পাসপোর্টধারীর প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংরক্ষিত থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ সহ ১২০ টি দেশে ই পাসপোর্ট চালু আছে। বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট চালু হওয়ার ফলে ই-পাসপোর্টধারী ব্যক্তিগণ ইমিগ্রেশনের ঝামেলা এড়িয়ে ই-গেট ব্যবহার করে সহজেই বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন। অনেকে ই পাসপোর্টকে আলাদা কোন পাসপোর্ট মনে করে থাকেন।
বাস্তবে ই-পাসপোর্ট আলাদা কোন ধরনের পাসপোর্ট নয় এটি মূলত এমআরপি পাসপোর্টেরই ডিজিটাল সংস্করণ। যেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে পাসপোর্ট ডিজিটাল হওয়ায় ফলে পাসপোর্ট করার পক্রিয়াও বেশ সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত হয়েছে। এই আলোচনায় আমরা পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২৫ নিয়ে আপনাদের একটি স্পষ্ট ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ৷
আরও পড়ুন: ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৫
ই-পাসপোর্ট কি?
ই-পাসপোর্ট বা ডিজিটাল পাসপোর্ট হলো আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নির্মিত নিরাপদ এবং কার্যকরী একটি পাসপোর্ট। এতে মূলত সাধারণ এমআরপি পাসপোর্টের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যগুলো প্রায় একই থাকে। তবে এর ভেতরে একটি মাইক্রোচিপ অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা পাসপোর্টধারীর ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন নাম, জন্মতারিখ এবং বায়োমেট্রিক ডেটা (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট, চেহারা, এইরিশের ছবি) সংরক্ষন করে। এই চিপটি ই-পাসপোর্টের একটি অন্যতম নিরাপত্তা ফিচার হিসেবে কাজ করে, যা যে কোন ধরনের জালিয়াতি রোধে কর্যকর।
ই-পাসপোর্ট ব্যবহারকারীদের জন্য অন্য দেশে ভ্রমণের প্রক্রিয়াকে সাধারণ এমআরপি পাসপোর্টের তুলনায় অনেক বেশি সহজ এবং দ্রুততর করে। কারণ এটি স্বয়ংক্রিয় স্ক্যানিং সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচয় যাচাই করতে সক্ষম। বিশ্বব্যাপী ১২০ টি দেশ ইতোমধ্যে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে। যা আন্তর্জাতিক ভ্রমণে নিরাপত্তা এবং সুবিধা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলা যায়। এর ফলে, ভ্রমণকারীরা আধুনিক, উন্নত এবং নিরাপদ পাসপোর্ট ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের যাত্রা আরও নির্বিঘ্ন করতে পারে।
পাসপোর্ট কত প্রকার:
বাংলাদেশে বর্তমানে এমআরপি এবং ই-পাসপোর্ট উভয়ই চালু রয়েছে। তবে এমআরপি পাসপোর্ট ২০২৬ সাল থেকে অকার্যকর হয়ে যাবে। আর দক্ষিন এশিয়ার ১ম দেশ হিসাবে বাংলাদেশই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু করে। তাই সংস্করনের উপর ভিত্তি করে পাসপোর্টের প্রকারভেদ করাটা বর্তমানে অপ্রাসঙ্গিক। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার সাধারণত তিন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করে থাকে। এগুলো হলো:
সাধারণ পাসপোর্ট (Ordinary Passport)
সাধারণ পাসপোর্ট মূলত দেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য ইস্যু করা হয়। দেশের যে কোন বয়সী নাগরিক এই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে অন্য দুই প্রকার পাসপোর্টে দেশের সকল নাগরিক আবেদন করতে পারেন না বা সকলকে ওই দুই ধরনের পাসপোর্ট প্রদান করা হয়না। সাধারণ পাসপোর্টের রঙ হয় সাধারণত গাঢ় সবুজ। এবং এই পাসপোর্ট সাধারণত বিদেশ ভ্রমণ, বিদেশ কর্মসংস্থান, পড়াশোনা, গবেষনা বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বিদেশ যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
অফিসিয়াল পাসপোর্ট (Official Passport)
অফিশিয়াল নাম দেখেই হয়তো বুঝতে পারছেন এটি একটি অফিশিয়াল বা সরকারি পাসপোর্ট। এই ধারনের পাসপোর্ট মূলত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ইস্যু করা হয়। এই ধরনের পাসপোর্ট সাধারণত যারা সরকারের দাপ্তরিক কাজে বিদেশ যান তাদের জন্য ইস্যু করা হয়। তবে সরকারি সকল কর্মকর্তারাই এই ধরনের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন। এই ধরনের পাসপোর্টের রঙ সাধারণত গাঢ় নীল বর্ণের হয়ে থাকে। আর এই ধরনের পাসপোর্ট মূলত সরকারি বা আধাসরকারি কাজে বিদেশ ভ্রমণের জন্য সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রদান করা হয়। এই ধরনের পাসপোর্ট ধারীদের জন্য বেশ কিছু ভিসা নীতিমালা প্রযোজ্য হয় না।
কূটনৈতিক পাসপোর্ট (Diplomatic Passport)
যে কোন দেশের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পাসপোর্ট হচ্ছে কূটনৈতিক পাসপোর্ট। রাষ্ট্রীয় বা কূটনৈতিক কাজে বিদেশ ভ্রমণের জন্য বিভিন্ন কূটনীতিক, রাষ্ট্রপ্রধান, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এই ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। বাংলাদেশে সাধারণত ২৭ শ্রেনীর বিশেষ ব্যক্তিদের এই কূটনৈতিক পাসপোর্ট দেওয়া হয়। কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা পৃথিবীর অনেক দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই ধরণের পাসপোর্টের রঙ সাধারণত লাল রঙের হয়।
পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৫:
আমরা এতক্ষন আপনাদের ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। এবার মূল আলোচনায় আসা যাক। যদিও ৫ বছর বা ১০ বছর উভয় মেয়াদি পাসপোর্ট করার নিয়ম এবং খরচের উপর আমাদের সাইটে আলাদা আলাদা পোস্ট রয়েছে। তবুও আপনাদের সুবিধার জন্য পুরো বিষয়টাকে আমরা একটি পোস্টের মাধ্যমে আর একবার গোছালো ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম।
পাসপোর্ট করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সংগ্রহ করে নিজের কাছে রাখতে হবে। যেমন : জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ, পিতামাতার NID কার্ড, নাগরিকত্ব সনদ, পেশার প্রমান পত্র ইত্যাদি। পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজ লাগে তার উপর আমাদের একটি বিস্তারিত লেখা রয়েছে আপনি চাইলে সেটি দেখে নিতে পারেন : ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে।
উপরে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় কাগজ গুলো সংগ্রহ করা হয়ে গেলে পরবর্তী ধাপে আপনাকে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে৷ আপনি এই কাজটি নিজে কিংবা অন্য কারো সাহায্য নিয়েও করে ফেলতে পারেন। যদি আপনি নিজে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে প্রথমে https://www.epassport.gov.bd/ সাইটে আপনার একটি একাউন্ট খুলে নিতে হবে। একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে লগ ইন করার পর আবেদনের জন্য উক্ত সাইটের মেনু আপশন থেকে Apply Online -এ ক্লিক করতে হবে। অথবা Apply Onlie for e-Passport/Re-Issue বক্স থেকে Directly to Online Application বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী সকল স্টেপ যথাযথ ভাবে ফুলফিল করতে হবে। কিভাবে স্টেপ বাই স্টেপ ই পাসপোর্টের আবেদন করতে হয় তা জানতে এই পোস্টটি দেখুন : পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম অনলাইন।
অনলাইনে আবেদন করা হয়ে গেলে নির্দিষ্ট তারিখে গিয়ে আপনার ছবি, ফিঙ্গার প্রিন্ট, আইরিশ এবং এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা দিলেই দিলেই মোটামুটি আপনার কাজ শেষ। এরপর পাসপোর্ট অফিস আপনার প্রদেয় সকল কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করা শেষে আপনার পারপোর্টটি রেডি হলে আপনাকে জানাবে। তখন আপনি আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্টটি সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনার পাসপোর্ট রেডি হয়েছে কিনা সেটি আপনি অনলাইনেও চেক করতে পাবেন।
পাসপোর্ট করার খরচ:
পাসপোর্ট করার খরচ মূলত নির্ভর করে আপনি কত পেজের পাসপোর্ট নিবেন এবং কত দিনের মধ্যে ডেলিভারি নিবেন তার উপর। তবে পাসপোর্ট করতে যে খচর হয় সেটি হচ্ছে একেবারে সরকারি ফি। এর বাহিরে দালাল বা অন্য কোন খরচ হয় না। আর এই ফি দেওয়াটাও এখন অনেকটা ঝামেলা মুক্ত। কারণ আপনি মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করেই এ চালান এর মাধ্যমে ই-পাসপোর্টের আবেদন ফি প্রদান করতে পারবেন। এই বিষয়ে আমাদের আলাদা একটি পোস্ট আছে আপনি আগ্রহী হলে সেটি দেখে নিতে পারেন।
৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট ফি:
৪৮ পৃষ্টার রেগুলার ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৪,০২৫ টাকা, এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৬,৩২৫ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৮,৬২৫ টাকা।
৬৪ পৃষ্টার রেগুলার ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৬,৩২৫ টাকা, এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৮,৬২৫ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ১২,০৭৫ টাকা।
১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট ফি:
৪৮ পৃষ্টার জন্য রেগুলার ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৫,৭৫০ টাকা, এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৮,০৫০ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ১০,৩৫০ টাকা।
৬৪ পৃষ্টার জন্য রেগুলার ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৮,০৫০ টাকা, এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ১০,৩৫০ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ১৩,৮০০ টাকা।
উল্লেখ্য
- রেগুলার ডেলিভারির সময় হচ্ছে ১৫ কার্যদিবস।
- এক্সপ্রেস ডেলিভারির সময় হচ্ছে ০৭ কার্যদিবস।
- সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির সময় হচ্ছে ০২ কার্যদিবস।
পাসপোর্ট রিনিউ ফি কত টাকা?
বাংলাদেশে আমরা অনেকেই পাসপোর্ট নবায়ন বা রিনিউ ফি কে নতুন পাসপোর্ট ফির কিছুটা কম মনে করি। যা আসলে ঠিক নয়। বাংলাদেশে নতুন পাসপোর্ট আবেদন ফি এবং পুরনো পাসপোর্ট নবায়ন ফি একই। আর এদের আবেদন প্রক্রিয়াও প্রায় একই বলা যায়। বিশেষ কোন পার্থক্য নাই। আর নতুন পাসপোর্টের আবেদন যেমন পাসপোর্টের মেয়াদ, পৃষ্ঠা এবং ডেলিভারির উপর নির্ভর করে। ঠিক তেমনি পাসপোর্ট নবায়ন ফিও এই তিনটি বিষয়ের উপরই নির্ভর করে। অর্থাৎ আপনি যত মেয়াদি, যত পৃষ্ঠা এবং যত দিনের মধ্যে ডেলিভারির চান তার উপর ভিত্তি করে পাসপোর্ট নবায়ন ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
আপনি যদি আপনার পুরাতন পাসপোর্টটি নবায়ন করে ৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার নতুন পাসপোর্ট সর্বমোট ২১ দিনের মধ্যে ডেলিভারি নিতে চান তাহলে আপনার খরচ আসবে ৪,০২৫ টাকা। যদি আপনার দ্রুত পাসপোর্টের প্রয়োজন হয় তাহলে সর্বমোট ১০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট ডেলিভারি নিলে খরচ আসবে ৬,৩২৫ টাকা এবং অতি জরুরী ২ দিনের মধ্যে ডেলিভারি নিলে খরচ আসবে ৮,৬২৫ টাকা। একই ভাবে যদি ৬৪ পৃষ্ঠায় পাসপোর্ট নবায়ন করতে চান তাহলে প্রথম ক্ষেত্রে খরচ আসবে ৬,৩২৫ টাকা, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ৮,৬২৫ টাকা, এবং অতি জরুরি তৃতীয় ক্ষেত্রে আসবে ১২,৭৫ টাকা।
অনুরূপ ভাবে আপনি যদি ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্টার নতুন পাসপোর্ট নবায়ন করতে চান তাহলে সাধারণ ডেলিভারি অর্থাৎ প্রথম ক্ষেত্রের জন্য আবেদন ফি আসবে ৫,৭৫০ টাকা, এক্সপ্রেস ডেলিভারি অর্থাৎ দ্বিতীয় ক্ষেত্রের জন্য আসবে ৮,০৫০ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি অর্থাৎ তৃতীয় ক্ষেত্রের জন্য জন্য আসবে ১০,৩৫০ টাকা।
আবার আপনার নবায়নকৃত পাসপোর্টের পেজ সংখ্যা যদি ৬৪ হয় তাহলে জন্য রেগুলার ডেলিভারির জন্য আসবে ৮,০৫০ টাকা, এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য ১০,৩৫০ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আসবে ১৩,৮০০ টাকা।
এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্ট:
বর্তমানে বাংলাদেশে বলতে গেলে মোটাদাগে কেবল মাত্র একটি সংস্করনের পাসপোর্টই চালু আছে। সেটি হলো ই-পাসপোর্ট। অতীতে দেশে এমআরপি পাসপোর্ট সেবা চালু থাকলেও বর্তমানে এই সেবা সীমিত করে ই-পাসপোর্টে উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তাই আপনি যদি নতুন করে পাসপোর্ট করতে চান বা পুরনো পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার ই-পাসপোর্টই দেওয়াই উত্তম হবে।
এখন আপনার কাছে যদি পুরনো এমআরপি পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে কি করবেন? আপনার কাছে যদি পুরনো এমআরপি পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে এটি নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আপনি খুব সহজেই আপনার অললাইনে আবেদন করার মধ্যমে আপনার পাসপোর্টটিকে এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্ট রুপান্তর করতে পারবেন। এর প্রক্রিয়াও বেশ সহজ৷ প্রায় নতুন ই-পাসপোর্টের আবেদনের মত। আপনি আমাদের এই "
ই পাসপোর্ট আবেদন এবং নবায়নের নিয়ম"পোস্টটি দেখুন তাহলে কিভাবে নবায়ন করে এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট আসবেন সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পায়ে যাবেন।
তবে এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট আসার জন্য আপনাকে অবশ্যই পে করতে হবে। আর এটি নির্ভর করবে আপনি কত পেজ, কত বছর এবং কত দিনের মধ্যে নতুন ই-পাসপোর্ট ডেলিভারি চান তার উপর। অর্থাৎ নতুন ই পাসপোর্টের খরচও যেমন এম আর পি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট নিলেও একই খরচ।
ই-পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায়?
ই-পাসপোর্টের ডেলিভারি বা কত দিনের মধ্যে ই পাসপোর্ট হাতে পাবেন এটি নির্ভর করে আপনি ই-পাসপোর্ট আবেদনের সময় কোন ডেলিভারি প্যাকেজ সিলেক্ট করেছেন তার উপর। ই-পাসপোর্ট মূলত ৩ টি ডেলিভারি প্যাকেজ অফার করে। একটি হচ্ছে সাধারণ, দ্বিতীয়টি হচ্ছে জরুরি আর তৃতীয়টি হচ্ছে অতিব জরুরি।
সাধারণ ডেলিভারি প্যাকেজে ই-পাসপোর্ট পাওয়ার সময়সীমা হচ্ছে শুক্র, শনি এবং সরকারি ছুটি বাদে ১৫ কর্যদিবস বা কাগজ জমা দেওয়ার পর থেকে ২১ দিন। জরুরি প্যাকেজের সময়সীমা হচ্ছে ৭ কর্যদিবস বা কাগজ জমা দেওয়ার পর থেকে ১০ দিন। এবং অতিব জরুরি প্যাকেজের সময়সীমা হচ্ছে কাগজ জমা দেওয়ার পর থেকে ২ কর্যদিবস।
আপনার কাগজপত্রে যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে আশা করা যায় আপনি এই সময়ের মধ্যেই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। তবে এর জন্য আপনার রেগুলার পাসপোর্টের বর্তমান আবস্থা চেক করা অতিব জরুরি। তবে বিশেষ কারণে ২-১ দিন এই নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে হেরফের হতে পারে।
পাসপোর্ট আবেদন ফরম ২০২৫:
বাংলাদেশ ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করায় এখন আর ম্যানুয়াল আবেদন ফরম পূরণ করে পাসপোর্টের আবেদন করার প্রচলন আগের তুলনায় অনেক কমে গিয়েছে। তবে আপনি যদি নতুন করে এমআরপি পাসপোর্টের আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনানে
http://passport.gov.bd/ এই ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করে আবেদন করতে হবে। আপনি চাইলে সারাসরি এখানে ক্লিক করেও আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করতে পারবেন :
পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম pdf
তবে ই-পাসপোর্ট তৈরি করতে হলে আপনাকে ই-পাসপোর্টে অফিশিয়াল ওয়েব সাইটে গিয়ে একাউন্ট খুলে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ই-পাসপোর্টের জন্য ম্যানুয়াল আবেদন এখন আর গ্রহন যোগ্য নয়। আপনি যদি নতুন কিংবা পরনো পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান তাহলে ই পাসপোর্টের অফিশিয়াল ওয়েব সাইট https://www.epassport.gov.bd/ এ ই-পাসপোর্টের অনলাইন আবেদন ফর্ম পেয়ে যাবেন।
শেষ কথা :
পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ নিয়ে এই ছিল মোটামুটি আলোচনা। আসলে এটি একটি বিশাল আলোচনার বিষয় যা এক পোস্টে কভার করা সম্ভব নয়। তাই এখানে আমরা সংক্ষিপ্ত ভাবে আপনাদের এই বিষয়ে একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি কোন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের মেনশন দেওয়া পোস্ট গুলো পড়ুন। আপনার সকল বিষয় ক্লিয়ার হয়ে যাবে। এছাড়াও আমাদের ব্লগটি ডেডিকেটেডলি পাসপোর্টের, ভিসা এবং প্রবাসীদের নিয়ে তৈরি করা। তাই আমাদের ব্লগটি ঘুরে দেখুন অনেক প্রয়োজনীয় পোস্ট খুঁজে পাবেন। যা আপনার ই পাসপোর্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে।