Skip to main content

এ চালান দিয়ে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম ২০২৪

ঝামেলাহীন বিদেশ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে গত ২২ জানুয়ারী ২০২০ ইং তারিখে ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই যার সুবিধা পেতে শুরু করছে বাংলাদেশ। ই-পাসপোর্টের একটি অন্যতম সুবিধা হচ্ছে পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া। আপনি কোন প্রকার দালাল বা কাগজ সত্যায়নের ঝামেলা ছড়াই নিজে নিজেই যেকোন মেয়াদি ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন। আর আবেদন প্রক্রিয়াও একদম সহজ। আপনি যদি ই-পাসপোর্টের আবেদন সম্পর্কে না জানেন তাহলে এই পোস্টটি দেখুন : ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন। আর ই-পাসপোর্টের অনলাইন আবেদনের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে পাসপোর্টের আবেদন ফি পরিশোধ। এই পোস্টে আমরা অফলাইন এ চালান দিয়ে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আরও পড়ুন : ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

এ চালান দিয়ে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম :

এ চালান দিয়ে ই-পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম

ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমেই আবেদন ফি প্রদান ব্যবস্থা রয়েছে। অফলাইন পেমেন্ট মাধ্যম হচ্ছে এ চালান। অফলাইন পেমেন্ট হিসাবে সংজ্ঞায়িত হলেও এটিও মূলত অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম। কারণ এ চালান দিয়ে ই-পাসপোর্টের ফি জমা দেয়ার জন্য আপনার ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনি আপনার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ই-পাসপোর্টের আবেদন ফি প্রদান করতে পারবেন। এমনকি যাদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড নেই তারা বিকাশ, রকেট, নগদের মত মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করেও পেমেন্ট করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি ইন্টারনেট ব্যাংকিং অথবা সরাসরি যে কোন সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারে টাকা জমা দেওয়ার মাধ্যমেও আবেদন ফি প্রদান করতে পারবেন। তবে এই পোস্টে আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে এ চালান ব্যবহার করে পাসপোর্টের আবেদন ফি প্রদান। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এ চালান দিয়ে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম দেখে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন : ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে ই-পাসপোর্ট চেক করুন

প্রথম ধাপ :

অফলাইন ই-পাসপোর্টের আবেদন ফি প্রদান করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার ই-পাসপোর্টের আনলাইন আবেদন সম্পূর্ণ করতে হবে। আবেদন সম্পূর্ন করার পর এবার আপনি ই-পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার জন্য আপনার কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোনের যে কোন একটি ব্রাউজার ওপেন করুন। এবং তার এড্রেস বারে Department of
Immigration & Passports এর অফিশিয়াল url "https://www.epassport.gov.bd/" টাইপ করুন। অথবা সরাসরি epassport লিখে গুগলে সার্চ করে উপরিউক্ত সাইটটি নির্বাচন করুন।

দ্বিতীয় ধাপ :

দ্বিতীয় ধাপে Department of
Immigration & Passports এর হোম পেজের মেনু অপশন থেকে PASSPORT FEES বাটনে ক্লিক করুন। অথবা একটু নিচে Passport Fees এর ঘর থেকে Payment information and options -এ ক্লিক করুন।

তৃতীয় ধাপ :

এই পেজে পেমেন্ট প্রদান সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেওয়া থাকবে সেখানে 2.Offline : Can be paid at any Government or private Banks through A-Challan (For self payment click here) থেকে Click Here -এ ক্লিক করুন। এবার আপনাকে অটোমেটেড চালান সিস্টেমের ওয়েব সাইটে ড্রাইভার্ট করা হবে।

চতুর্থ ধাপ :

অটোমেটেড চালান সিস্টেমের ওয়েব সাইটের হোম পেজ থেকে পাসপোর্ট -এ ক্লিক করে ই-পাসপোর্ট ফি সিলেক্ট করুন। তারপর "আবদনের প্রকৃতি" থেকে কত পাতার ই-পাসপোর্ট নিবেন সেটি সিলেক্ট করুন। এবং "বিতরনের প্রকৃতি" থেকে কত বছর মেয়াদি এবং কত কর্মদিবসে ডেলিভারি নিবেন সেটি নির্বাচন করুন। এরপর নিচে টাকার পরিমান ঠিক আছে কিনা দেখে OK বাটনে ক্লিক করুন। ই পাসপোর্টের আবেদন ফি সম্পর্কে যদি আপনার সঠিক জ্ঞান না থাকে তাহলে নিচের পোস্টটি দেখতে পারেন। এখন আমরা ই পাসপোর্ট ফি সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আরও পড়ুন : ই পাসপোর্টের আবেদন ফি ২০২৪

পঞ্চম ধাপ :

পরের পেজের একটু নিচে "৩। যে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের অর্থ জমা দেওয়া হচ্ছে" এর পাশে থাকা "ব্যক্তি" বাটনে ক্লিক করুন। এরপর নিচের ফর্মে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার, জন্ম তারিখ, ফোন নাম্বার, ইমেল এড্রেস (অপশনাল) দিয়ে Check NID বাটনে ক্লিক করুন। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সিলেক্ট করে সে অনুসারে তথ্য দিয়ে Check বাটনে ক্লিক করবেন।

এরপর তারা আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে কোন ই-পাসপোর্টের আবেদন করা হয়েছে কিনা সেটি ভেরিফাই করে পাশে প্রদর্শিত হবে। তারপর "৫। অর্থপরিশোদের ধরণ নির্বাচন" থেকে মোবাইল ব্যাংকিং বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা কার্ড পেমেন্ট অথবা ব্যাংক কাউন্টার জমা নির্বাচন করুন। এরপর আপনার পছন্দ মত পেমেন্ট সিস্টেমটি নির্বাচন করে সেভ বাটনে ক্লিক করুন।

এরপর আপনার নির্বাচন করা পেমেন্ট সিস্টেমের তথ্য চাওয়া হবে। যেমন বিকাশ সিলেক্ট করলে বিকাশ নাম্বার, পাসয়ার্ড ইত্যাদি। আর কার্ড সিলেক্ট করলে কার্ডের ইনফরমেশন চাইবে। সেই ইনফরমেশন গুলো দিয়ে দিলেই আপনার পেমেন্ট হয়ে যাবে।

ষষ্ঠ ধাপ :

সফল ভাবে পেমেন্ট সম্পূর্ন হওয়ার পর এখান থেকে আপনি আপনার এ-চালান কপিটি ডাউনলোড করতে পারবেন। যদি কোন কারনে এখন থেকে এ-চালান কপি ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তাহলে পুনরায় তৃতীয় ধাপে ফেরত যাবেন এবং 2.Offline : Can be paid at any Government or private Banks through A-Chalan (For self payment click here) এর ঠিক পরের লাইনের Click Here -এ ক্লিক করবেন।

তারপর নিচের "Automated Chalan Verification" অংশে চালান নাম্বার দিয়ে Verify বাটনে ক্লিক করলেই আপনার চালান কপিটি পেয়ে যাবে। এবং সেখান থেকে পুনরায় যতবার ইচ্ছা ডাউনলোড করতে পারবেন। ভাবছেন চালান নাম্বার কোথায় পাবেন? আপনার পেমেন্ট সম্পূর্ন হওয়ার সাথে সাথেই আপনার ফোনে চালান নাম্বার প্রেরন করা হবে। 

শেষ কথা :

এই ছিল অফলাইনে এ চালান দিয়ে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম। ই-পাসপোর্টের আবেদন, আবেদন ফি প্রদানকে অনেকেই খুব জটিল কাজ মনে করে। অবশ্য এর যথেষ্ট কারণও রয়েছে। সেটি হল ই-পাসপোর্টের এই বিষয় গুলো সম্পর্কে অজ্ঞতা। কিন্তু উপরের আলোচনা থেকে দেখলেন কত সহজে ই-পাসপোর্টের আবেদন ফি প্রদান করা যায়। তাই আশা করি এ চালান দিয়ে ই-পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম টি আমরা অতি সহজ ভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। ই-পাসপোর্ট রিলেটেড এমন সব গুরুত্বপূর্ন তথ্য পেতে আমাদের সাথেই যুক্ত থাকুন।

Popular Posts

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২৪

ই পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট যেখানে একটি ইলেকট্রনিক চিপের মধ্যে পাসপোর্টধারীর প্রয়োজনীয় সকল তথ্য রক্ষিত থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ সহ ১২০ টি দেশে ই পাসপোর্ট চালু আছে। বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট চালু হওয়ার ফলে ই পাসপোর্টধারী ব্যক্তিগণ ইমিগ্রেশনের ঝামেলা এড়িয়ে ই গেট ব্যবহার করে সহজেই বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন। অনেকে ই পাসপোর্টকে আলাদা কোন পাসপোর্ট মনে করে থাকেন। বাস্তবে ই পাসপোর্ট আলাদা কোন ধরনের পাসপোর্ট নয় এটি মূলত এম আর পি পাসপোর্টেরই ডিজিটাল ভার্সন। যেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। এই পাসপোর্ট ডিজিটার হওয়ায় ই পাসপোর্ট করার পক্রিয়াও বেশ সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত। এই আলোচনায় আমরা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ নিয়ে আপনাদের একটি স্পষ্ট ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ৷  ই পাসপোর্ট করার নিয়ম :  আমরা এতক্ষন আপনাদের ই পাসপোর্ট সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। যদিও ই পাসপোর্ট করার নিয়মের উপর আমাদের সাইটে আলাদা আলাদা পোস্ট পোস্ট রয়েছে তবুও আপনাদের সুবিধার জন্য পুরো বিষয়টাকে এই পোস্টে আর একবার গোছালো ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম।  ই পাসপোর্ট কর

বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা কিভাবে দেখবেন?

বর্তমানে বাংলাদেশ ই পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করায় এখন খুব সহজেই দেশ কিংবা দেশের বাহিরে থেকে সহজেই  ই পাসপোর্টের আবেদন করা যায়। এমনি কি আপনার আবেদনটি এখন কোন অবস্থায় আছে অর্থাৎ বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা সেটিও খুব সহজেই যেকোন স্থান থেকে দেখা যায়। তবে এর জন্য প্রয়োজন একটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোন এবং সঠিক জ্ঞান। আর পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের এই কাজকে একটু সহজ করে দিতে এই আলোচনায় আমরা বহুল জিজ্ঞাসিত একটি প্রশ্ন বাংলাদেশে আমার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা কিভাবে দেখব? এটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় প্রবেশ করি। আরও পড়ুন : ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৪ কিভাবে বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা দেখবেন? বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা তা জানার জন্য নিচের স্টেপ গুলো ভালভাবে অনুসরণ করুন।  Step 01:  বাংলাদেশে আপনার ই পাসপোর্ট রেডি হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল হতে ই-পাসপোর্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট " https://www.epassport.gov.bd /" এ প্রবে