Skip to main content

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

নিজ দেশের প্রতিটি ব্যক্তির অন্তর্জাতিক পরিচিতি হচ্ছে পাসপোর্ট। দেশের অভ্যন্তরে যেমন আইডেন্টিফিকেশনের অন্যতম প্রমানপত্র হলো জাতীয় পরিচয় পত্র বা NID Card। তেমনি দেশের বাহির কোন ব্যক্তির আইডেন্টিফিকেশনের অন্যতম প্রমানপত্র হচ্ছে পাসপোর্ট। সাধারণত একজন ব্যক্তির জন্য একটিই পাসপোর্ট হয়ে থাকে। ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য অর্থাৎ একজন ব্যক্তি একটি NID Card দিয়ে একটিই ই-পাসপোর্ট ইস্যু করতে পারবেন। দেশ ডিজিটালাইজেশনের কারণে ই-পাসপোর্ট তৈরি করার কাজটি একদম সহজ হয়ে গেছে। এখন পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য আর দালাল ধরার প্রয়োজন হয়না। নিজে নিজেই খুব সহজে ই-পাসপোর্টের আবেদন করা যায়। সেই প্রেক্ষিতেই এই আলোচনায় আমরা ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলার চেষ্টা করব। পাশাপাশি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন এবং ই-পাসপোর্টের খরচ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।

আরও পড়ুন : 

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

ই-পাসপোর্ট কি?

ই পাসপোর্ট এর পূর্নরূপ হচ্ছে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট। যা একটি ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ যুক্ত বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট সিস্টেম। এই পাসপোর্টে ইলেকট্রনিক চিপ যুক্ত থাকায় এয়ারপোর্টের ই-গেট খুব সহজেই পাসপোর্ট ধারকের পরিচয় ডিটেক্ট করতে পারে। ই-পাসপোর্ট তৈরি করার সময় পাসপোর্ট ধারকের ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশের ছবি ইত্যাদি নেওয়া হয়। আর এর ফলে নকল ই-পাসপোর্ট তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। ২২ জানুয়ারী ২০২০ সালে পৃথিবীর ১১৯ তম দেশ হিসাবে ই-পাসপোর্ট চালু করে বাংলাদেশ। বর্তমানে ১২০ টি দেশে ই-পাসপোর্ট চালু রয়েছে।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে:

এম আর পি পাসপোর্টের মত ই-পাসপোর্টও ৫ বছর এবং দশ বছর মেয়াদি হয়ে থাকে। তবে ১৮ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক আবেদনকারী ব্যক্তির ই-পাসপোর্ট হবে ০৫ বছর মেয়াদি এবং ৪৮ পৃষ্ঠার। মূলত ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগবে তা নির্ভর করে আবেদনকারীর বয়স, পেশা ইত্যাদির উপর। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট হলেও নিচে আপনাদের সুবিধার জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ৫ বছর মেয়াদি এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের ১০ বছর উভয় মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তার একটি তালিকা প্রদান করা হল :

NID কার্ড/জন্ম নিবন্ধন সনদ :

আপনি যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হন অর্থাৎ আপনার বয়স যদি ১৮ থেকে ২০ বছর হয় তাহলে ই-পাসপোর্টের আবেদনের জন্য আপনার NID কার্ড এর কপি অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের যে কোন একটি প্রয়োজন হবে। তবে আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয় তাহলে শুধুমাত্র অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হবে। কিন্তু আপনার বয়স যদি ২০ বছরের উর্ধে হয় তাহলে ই-পাসপোর্টের আবেদনের জন্য আপনার NID কার্ড থাকাটা বাধ্যতামূলক।

পিতামাতার NID কার্ড :

পিতামাতার NID কার্ডের ফটোকপি কেবলমাত্র অপ্রাপ্ত বয়স্ক আবেদনকারী এবং ৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ১৮ বছরের নিচে কোন আবেদনকারী অবিভাবক হিসাবে পিতা, মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যতিত ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

আরও পড়ুন: কি কি পরিবর্তন আনা হয়েছে ই-পাসপোর্টে

নাগরিকত্ব সনদ :

প্রাপ্ত বয়স্ক এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক উভয় আবেদনকারীর ক্ষেত্রে ১০ বছর বা ৫ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্টের আবেদন করার জন্য আবেদনকারী নাগরিকত্ব সনদ প্রয়োজন হবে। এই ক্ষেত্রে আবেদনকারী ইউনিয়নের বাসিন্দা হলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার বাসিন্দা হলে পৌরসভার চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রাপ্ত নাগরিক সনদপত্র ব্যবহার করবেন।

অনলাইন আবেদনের কপি:

https://www.epassport.gov.bd সাইটে সঠিক এবং নির্ভুল ভাবে ই-পাসপোর্টের আবেদন সম্পূর্ন করার পর অনলাইন আবেদনের কপিটি পাসপোর্ট আফিসে ই-পাসপোর্ট করার জন্য জমা দিতে হবে। কিভাবে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন তা এই পোস্টের নিচের অংশে দেখতে পাবেন।

পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রিসিট:

ই-পাসপোর্টের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফি অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমেই পরিশোধ করা যায়। অফলাইনে সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকের চালানের মাধ্যমে এবং অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আবেদন ফি পরিশোধ করে তার কপি বা রিসিট সংগ্রহ করে রাখতে হবে। যা পরবর্তীতে পাসপোর্ট আফিসে ই-পাসপোর্ট করতে করতে প্রয়োজন হবে।

পেশার প্রমান পত্র :

ই-পাসপোর্ট করার জন্য আবেদনকারীর পেশার প্রমানপত্র থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। ছাত্রদের ক্ষেত্রে পেশার প্রমান পত্র হিসাবে স্টুডেন্ট আইডি এবং চাকুরিজীবীদের জন্য চাকরির কার্ড ই-পাসপোর্টের করতে প্রয়োজন হবে। কিন্তু পেশা হিসাবে কৃষক নির্বাচন করলে তার সাপেক্ষে কোন প্রমান পত্র পেশ করতে হবে না। তবে পেশা কৃষি না হলে আবেদন করার সময় কৃষক না সিলেক্ট করাই উত্তম।

বৈবাহিক অবস্থার সনদ : 

প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ই পাসপোর্টে আবেদন করার সময় বৈবাহিক অবস্থার সনদ অর্থাৎ বিবাহ সনদ কিংবা বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।

3R সাইজ ছবি :

ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য আবেদন ফর্মে কিংবা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কোন প্রকার ছবি জমা দিতে হয় না। তবে আবেদনকারীর বয়স যদি ০৬ বছরের নিচে হয় তাহলে ০৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্টের আবেদনকারীর সদ্য তোলা ল্যাব প্রিন্ট 3R সাইজ ছবি প্রয়োজন হবে। তবে ই-পাসপোর্টের জন্য এই ছবি সত্যায়ন করার কোন প্রয়োজন হবে না। 

NOC / GO :

এটি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরাগণ সরকারি কাজে বিদেশ ভ্রমণ করতে চাইলে ই-পাসপোর্টের আবেদন করার সময় তাদের GO (Government Order) প্রয়োজন হবে। তবে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীগণ যদি ভ্রমনের জন্য ই-পাসপোর্টের আবেদন করেন তাহলে তাদের NOC (No Objection Certificate) প্রয়োজন হবে GO এর প্রয়োজন হবে না।

কিভাবে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের আবেদন করবেন:

বর্তমানে আপনি কোন দালাদের সাহায্য ছাড়াই নিজের কম্পিউটার, ল্যাপটপ এমনি কি হাতের স্মার্ট ফোন দিয়েও ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে https://www.epassport.gov.bd সাইটে প্রবেশ করতে হবে।

তারপর সেখান থেকে Apply Onlie for e-Passport/Re-Issue বক্সে থাকা Directly to Online Application ক্লিক করে একাউন্ট তৈরি করতে হবে। একাউন্ট তৈরি করা হয়ে গেলে লগ ইন করে Apply for a new passport -এ ক্লিক করে আপনার প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য দিয়ে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। পোস্ট বেশি দীর্ঘ হবে বিধায় এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব হলো না। এই বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত একটি পোস্ট আছে আপনি চাইলে আবেদন করার সময় সেটির সাহায্য নিতে পারেন : ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্টের আবেদনের নিয়ম 

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের আবেদন ফি :

পাতার উপর ভিত্তি করে মূলত পাসপোর্ট দুই ধরনের হয়ে থাকে ১. ৪৮ পৃষ্টার এবং ২. ৬৪ পৃষ্টার। ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টও এই দুই ধরনেরই হয়ে থাকে।

৪৮ পৃষ্টার রেগুলার ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৫,৭৫০ টাকা, এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৮,০৫০ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ১০,৩৫০ টাকা।

৬৪ পৃষ্টার রেগুলার ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ৮,০৫০ টাকা, এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ১০,৩৫০ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য আবেদন ফি ১৩,৮০০ টাকা।

উল্লেখ্য

  • রেগুলার ডেলিভারির সময় হচ্ছে ১৫ কার্যদিবস।
  • এক্সপ্রেস ডেলিভারির সময় হচ্ছে ০৭ কার্যদিবস।
  • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির সময় হচ্ছে ০২ কার্যদিবস।

ই পাসপোর্টের আবেদন ফি এর উপর আমাদের একটি আলাদা পোস্টই আছে। চাইলে সেটি দেখতে পারেন : ই পাসপোর্টের আবেদন ফি ২০২৪

শেষ কথা :

দেশে ই-পাসপোর্টের যাত্রা শুরু হয়ে কিছু ক্ষেত্রে এই সেক্টরে বেশ কিছু অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে। একসময় সাধারণ মানুষ দালাল ছাড়া পাসপোর্টে করাকে প্রায় অসম্ভব মনে করত। অথচ এখন খুব সহজেই যে কেউ যে কোন জায়গা থেকে নিজের, পরিবার বা অন্যের জন্য পাসপোর্টের আবেদন করতে পারেন। আর ই-পাসপোর্ট করার জন্য ছবি এবং অন্যন্য কাগজ পত্র সত্যায়িত করার প্রয়োজন না হওয়ায় এই কাজটি আরো সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত হয়েছে। আপনি যদি নিজে নিজে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আশা করি "১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে" এই পোস্টটি আপনার জন্য বেশ সহায়ক হবে। পাসপোর্ট রিলেটেড এমন সব প্রয়োজনীয় তথ্য, নিউজ ও টিউটরিয়াল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

Popular Posts

এ চালান দিয়ে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম ২০২৪

ঝামেলাহীন বিদেশ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে গত ২২ জানুয়ারী ২০২০ ইং তারিখে ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই যার সুবিধা পেতে শুরু করছে বাংলাদেশ। ই-পাসপোর্টের একটি অন্যতম সুবিধা হচ্ছে পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া। আপনি কোন প্রকার দালাল বা কাগজ সত্যায়নের ঝামেলা ছড়াই নিজে নিজেই যেকোন মেয়াদি ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন। আর আবেদন প্রক্রিয়াও একদম সহজ। আপনি যদি ই-পাসপোর্টের আবেদন সম্পর্কে না জানেন তাহলে এই পোস্টটি দেখুন :  ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদন । আর ই-পাসপোর্টের অনলাইন আবেদনের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে পাসপোর্টের আবেদন ফি পরিশোধ। এই পোস্টে আমরা অফলাইন এ চালান দিয়ে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আরও পড়ুন :  ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এ চালান দিয়ে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম : ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমেই আবেদন ফি প্রদান ব্যবস্থা রয়েছে। অফলাইন পেমেন্ট মাধ্যম হচ্ছে এ চালান। অফলাইন পেমেন্ট হিসাবে সংজ্ঞায়িত হলেও এটিও মূলত অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম। কারণ এ চালান দিয়ে ই-পাসপোর্টের ফি জমা দেয়ার জন্য আপনার ব্

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২৪

ই পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট যেখানে একটি ইলেকট্রনিক চিপের মধ্যে পাসপোর্টধারীর প্রয়োজনীয় সকল তথ্য রক্ষিত থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ সহ ১২০ টি দেশে ই পাসপোর্ট চালু আছে। বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট চালু হওয়ার ফলে ই পাসপোর্টধারী ব্যক্তিগণ ইমিগ্রেশনের ঝামেলা এড়িয়ে ই গেট ব্যবহার করে সহজেই বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন। অনেকে ই পাসপোর্টকে আলাদা কোন পাসপোর্ট মনে করে থাকেন। বাস্তবে ই পাসপোর্ট আলাদা কোন ধরনের পাসপোর্ট নয় এটি মূলত এম আর পি পাসপোর্টেরই ডিজিটাল ভার্সন। যেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। এই পাসপোর্ট ডিজিটার হওয়ায় ই পাসপোর্ট করার পক্রিয়াও বেশ সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত। এই আলোচনায় আমরা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ নিয়ে আপনাদের একটি স্পষ্ট ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ৷  ই পাসপোর্ট করার নিয়ম :  আমরা এতক্ষন আপনাদের ই পাসপোর্ট সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। যদিও ই পাসপোর্ট করার নিয়মের উপর আমাদের সাইটে আলাদা আলাদা পোস্ট পোস্ট রয়েছে তবুও আপনাদের সুবিধার জন্য পুরো বিষয়টাকে এই পোস্টে আর একবার গোছালো ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম।  ই পাসপোর্ট কর

বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা কিভাবে দেখবেন?

বর্তমানে বাংলাদেশ ই পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করায় এখন খুব সহজেই দেশ কিংবা দেশের বাহিরে থেকে সহজেই  ই পাসপোর্টের আবেদন করা যায়। এমনি কি আপনার আবেদনটি এখন কোন অবস্থায় আছে অর্থাৎ বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা সেটিও খুব সহজেই যেকোন স্থান থেকে দেখা যায়। তবে এর জন্য প্রয়োজন একটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোন এবং সঠিক জ্ঞান। আর পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের এই কাজকে একটু সহজ করে দিতে এই আলোচনায় আমরা বহুল জিজ্ঞাসিত একটি প্রশ্ন বাংলাদেশে আমার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা কিভাবে দেখব? এটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় প্রবেশ করি। আরও পড়ুন : ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৪ কিভাবে বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা দেখবেন? বাংলাদেশে আপনার পাসপোর্ট রেডি আছে কিনা তা জানার জন্য নিচের স্টেপ গুলো ভালভাবে অনুসরণ করুন।  Step 01:  বাংলাদেশে আপনার ই পাসপোর্ট রেডি হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল হতে ই-পাসপোর্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট " https://www.epassport.gov.bd /" এ প্রবে